ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম

সূচিপত্র: ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা সকল কৌশল সংক্ষিপ্ত আকারে জানার তালিকা

• ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
• নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং 
• একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসে আয় কত 
• মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব 
• ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ 

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করার লক্ষ্য প্রথম ধাপ হল ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব। ফ্রিল্যান্সিং শিক্ষার নিয়মাবলী বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো 

বাজার পরিচিতি: ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ পাওয়ার জন্য দক্ষতা ও প্রশিক্ষনের পাশাপাশি বাজার পরিচিতিটাও চিনতে হবে। এখন আপনি ভাবতে পারেন এটা কি মাছ বাজার। না এটা মাছ বাজার না বা সবজি বাজারও নয়। এটা হল ফ্রিল্যান্সার বাজার। এখানে আপনি আপনার প্রশিক্ষণ অনুযায়ী যে কাজের দক্ষতা রয়েছে। সেই কাজের দক্ষতা অনুযায়ী এখান থেকে আপনি কাজ কালেক্ট করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই কথাটার মূল রহস্য এখানে। অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস আছে। এই সকল মার্কেটপ্লেস গুলোর সাথে আপনি পরিচিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ পেতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব নবীর জীবনী সংক্ষিপ্ত আকারে 

স্বাধীনতা ও নেটওয়ার্কিং: ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ও কতক্ষণ ধরে কাজ করতে হয়। তবে আমি আপনাকে বলতে পারি ফ্রিল্যান্সিং মানেই তো বুঝতে পারছেন। এই কাজটা একবারে স্বাধীনতা। আপনি আপনার মত কাজ করতে পারবেন। এতে কোন বাধা বিপত্তি নেই। আপনি যেমন কাজ করবেন তেমন টাকা পাবেন। আপনার স্বাধীন কাজ হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং যথেষ্ট। তবে হ্যাঁ আমি আপনাকে বলব আপনার নেটওয়ার্কিং ভালো থাকা লাগবে। ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কিং ভালো থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এজন্য সর্বদা নেটওয়ার্ক ভালো রাখার দিকে গুরুত্ব দিবেন বিশেষভাবে। 

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং 

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম এই প্রশ্নটি মাথায় সর্বপ্রথম আসে। নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হল। 

• শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন: নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে তাকে শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সে ফ্রিল্যান্সিং শেখার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করা একটি বড় মহৎ কাজ। আপনি আপনার মনোযোগ দিয়ে যদি একবার দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। দক্ষতা অর্জন করার পরে সেই কাজে যদি আপনি প্রতিস্থাপন করে থাকেন। তাহলে আপনি প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আরো বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আমি আগেও বলেছি এই কাজে কোন বাধা বৃত্ত নেই। এই কাজটি একটি ফ্রিল্যান্সিং কাজ বা স্বাধীনতা কাজ। আপনি আপনার ইচ্ছামত এই কাজগুলো করতে পারবেন। 
• প্রস্তুতি ও নির্ধারিত লক্ষ্য: প্রস্তুতি ও নির্ধারিত লক্ষ্য যদি থাকে নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং। আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে সর্বদা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আমি কিভাবে নতুন অবস্থায় একটি কাজ করব। এইসব যত প্রকার ধারণা আছে এগুলোকে প্রস্তুতির মুখে ফেলানো যাবে না। এক্ষেত্রে বলা যায় আপনাকে সর্বদা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। সর্বক্ষেত্রের নতুন নিয়মে সঠিক একটি গাইডলাইন অবশ্যই জরুরী। সেই গাইডলাইনটি হল নির্ধারিত লক্ষ্য। সর্বদা তাকে একটি লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। সেই লক্ষ্য তাকে পৌঁছাতে হতে হবে। এজন্য প্রস্তুতি ও নির্ধারিত লক্ষণ ফ্রিল্যান্সার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে।
• প্রস্তুতিশীলতা এবং পতিস্থান নির্ধারণ: নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে সব সময় প্রস্তুতিশীলতা থাকতে হবে। প্রস্তুতি শীলতা হলো এমন একটি নির্ভর জিনিস যেটা সকলের মাধ্যমে পাওয়া যায় না। একটা মানুষকে ধাপে ধাপে এই প্রস্তুতি-শীলতা গ্রহণ করতে হয়। আপনাকে যেকোনো সময় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। অতি স্থান নির্ধারণ বলতে বিশ্বাস বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। আপনি আপনার নিজের উপর বিশ্বাস স্থাপন করবেন। আপনি এই কাজটা পারবেন। এমন মনোভাব নিয়ে প্রস্তুতি থাকবে। আপনি যদি প্রস্তুতিশীলতা এবং অতি ও স্থান নির্ধারণ সম্পর্কে ভালোভাবে না বুঝতে পারেন। তাহলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সার হওয়াটা খুবই কঠিন হয়ে যাবে।
  

একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসে আয় কত 

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম হয়। তবে একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসে আয় কত হতে পারে। এ সকল বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করছি। 

• দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা: একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসে আয় কত সম্ভব হতে পারে। একদম ফ্রিল্যান্সারের বেতন তার কাজের প্রতি গতিবেগ অনুযায়ী হয়ে থাকে। একটা ভালো এমাউন্ট তুলতে গেলে তাকে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। যারা প্রথম দিকে ফ্রিল্যান্সিং করে। তাদের কাছে পাহাড়ের মত মনে হয়। তবে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সে তার কাজকে আরো সহজ করে ফেলে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার ইস্কেলের প্রতি বেশি ভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর এই দক্ষতা পূরণের ক্ষেত্রে যত দক্ষতা বাড়বে তত অভিজ্ঞতা ও হবে। 
• ক্লাইনের বিষয়ে গুরুত্ব: ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসে আয় কত হতে পারে। একজন ফ্রিল্যান্সার বেতন দিয়ে থাকে একজন ক্লায়েন্ট। যিনি কাজ দেন তাকে ক্লায়েন্ট বলা হয়। আর যে কাজ করে তাকে সেলার বলা হয়। যেহেতু একজন সেলার একজন ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে কাজ নিয়ে থাকে। সর্বোপরি আপনার উদাহরণ দিয়ে বলি। আপনি যে ব্যক্তির কাজ করে দিবেন। সর্বদা তার মনের কথা বোঝার চেষ্টা করবেন। সকল বিষয়ে দিক দিয়ে ক্লায়েন্টের বিষয়ে গুরুত্ব দিবেন ভালো হবে। আপনি যদি একটি ক্লায়েন্টের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তাহলে আপনার প্রমোশন বাড়তে পারে। এছাড়াও সকল ক্ষেত্র দিক দিয়ে উল্লেখ করলে দেখা যায় ক্লায়েন্টের বিষয় গুরুত্ব দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। 
• মার্কেট চালানোর ধারণা: ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসে আয় কত হতে পারে সে সম্পর্কে নিশ্চয় ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। তবে এবার বলব মার্কেট চালানোর ধারণা কি? আপনি হয়তো না জেনেই থাকবেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত পড়তে থাকুন। নিজের দিকে দেওয়া আছে সকল কোচ গুলো কিভাবে করবেন ইত্যাদি বিষয়ে মার্কেট চালানোর। এটাকে বলে ফ্রিল্যান্সার মার্কেট। আপনি বিশেষভাবে অনেক কাজগুলো এই সকল মার্কেট থেকে পেয়ে থাকতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের কাজগুলোই মার্কেটপ্লেস থেকে করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এ সকল দিক দিয়ে মার্কেট চালানো ধারণা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যদি মার্কেট সম্পর্কে আপনার ধারণা না থাকে তাহলে আপনি কিভাবে কাজ পেতে পারেন। 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব 

• মোবাইল অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো এই নিয়ম অনুযায়ী মোবাইল অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট তৈরীর কাজ করা সম্ভব। এছাড়াও সকল ধরণের মোবাইল অ্যাপস এবং ওয়েবসাইটের খুব সহজেই কাজ করতে পারবেন। এ সকল ধারাবাহিকতার বাহিরে ও ডিজিটাল মার্কেটিং গ্রাফিক ডিজাইন ইত্যাদি বিষয়বস্তু মোবাইল দিয়েও সম্ভব। তবে বিশেষভাবে লক্ষ্য মোবাইল অ্যাপস মোবাইলের মাধ্যমে তৈরি করতে পারবেন। মোবাইল অ্যাপস থেকেও ওয়েবসাইট তৈরি করা খুবই ইজি মোবাইল দিয়ে। তবে এগুলোর বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা না থাকলেও না থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে নিচে আমরা উল্লেখিত বিষয় নিয়ে একটু সংক্ষেপে আলোচনা করব। 
• মোবাইল স্ক্রিল অর্জন: মোবাইল অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট বিষয়বস্তু সম্পর্কে এতক্ষন আলোচনা করলাম। তবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব। এ কথাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অংশীদারিত্বপূর্ণ সম্পর্কে বজায় রাখে দৃষ্টি অঙ্গীকারবদ্ধ ভাবে। যদি মোবাইলের কথা বলা হয়ে থাকে তাহলে অনেকেই বলবেন না। মোবাইল দিয়ে কোন স্ক্রিল অর্জন করা সম্ভব না। কিন্তু মোবাইলে অনেক রকম এপ্স বা অন্য কিছুর মাধ্যমে এগুলো এখন সম্ভব। শুধুমাত্র আপনার নিজের হাতের মোবাইল ফোন দিয়েই আপনি বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করতে পারবেন।
  
• মোবাইলের মাধ্যমে যারা শিখায়: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব এই কথাটি আপনার মতে আসতে পারে খুব সহজে। তবে এর সমাধানটাও রয়েছে। আমি কিছু কিছু ফ্রিল্যান্সিং আইটির নাম সাজেস্ট করব। সেই সকল ফ্রিল্যান্সিং আইটি গুলো খুবই ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। সে সকল আইটির মধ্যে একটি অন্যতম মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং আইডি হল MOS IT BD. আপনি গুগলে গিয়ে এই শব্দটি সার্চ দিয়ে তাদের ওয়েবসাইটটি খুঁজে বাহির করবেন। তোদের whatsapp নাম্বার দেওয়া থাকবে সেখানে যোগাযোগ করে আপনি তাদের ঠিক শিখতে পারেন। 

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ 

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে বহুত পরিশ্রম করতে হয়। সেই সকাল ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহের ভিত্তিতে আলোচনা করা হচ্ছে। 

গ্রাফিক ডিজাইন: ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহের মধ্য গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি অন্যতম মাধ্যম। গ্রাফিক ডিজাইনের বিকল্প অসাধারণ। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। তাহলে জীবনে বহু টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই সেক্টরে বহুত মানুষ কাজ করে। তারা একটি ভালো পরিমাণ আরনিং উপার্জন করে। গ্রাফিক ডিজাইনের কোন বিকল্প নাই। একটি মানুষ যেকোনো কাজের প্রয়োজনে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর প্রয়োজন পড়ে। সে ক্ষেত্রে সে চাই তার গ্রাফিক্স ডিজাইন টা খুবই সুন্দর আকর্ষণীয় হোক। এই উদ্দেশ্যে সেলার খোঁজা শুরু করে। 

আরো পড়ুনঃ মুখের কালো দাগ দূর করার উপায় 

ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের এর মধ্যেও একটি অন্যতম সেক্টর। আপনি যদি মনে করেন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন। তাহলে শিখতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিলকল্প নাই। এখন চলে আসুন এক নজরে যে ডিজিটাল মার্কেটিং কি। আপনি হয়তো এতক্ষণ ভেবে নিয়েছেন ডিজিটাল মার্কেটিং মনে কোন পণ্য বিক্রয় করা। এই কথাটা আমিও সর্বপ্রথম ভাবতাম কিন্তু এই কথাটা সঠিক নয়। ডিজিটাল যুগে যে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো আছে যেমন facebook youtube ইত্যাদি বিষয় গুলো। এই সকল বিষয়বস্তুগুলোকে টার্গেট করে একজন মিস্ত্রির মত সরবরাহ পূরণ কাজ করতে হবে। 

শেষ কথা: সময় প্রতিবেদনের সকল পাঠকদের কে জানাই আন্তরিক সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। এতক্ষণ পর্যন্ত আর্টিকেল পড়ে শেষ কথা নিশ্চয়ই পড়ছেন। আমাদের লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে কমেন্ট সেকশনে জানিয়ে দিবেন। তবে সর্বোপরি বলতে হয়। আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হতে চান। তাহলে নিজের মনোভাব বজায় রাখতে হবে এবং এর প্রতি দীর্ঘ বিশ্বাস রাখতে হবে। এ সকল ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো যদি আপনি উপলব্ধি করতে পারেন তাহলে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠতে পারবেন। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার তার দেশকে পরিবর্তন করতে পারে।

রাসূল সঃ বলেছেন, আল্লাহ এমন মানুষকে পছন্দ করেন যিনি কাজের জন্য গিয়ে আসে। তারপর তার জন্য অসাধু হয়ে বসে না। সহীহ বুখারী